শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ০৬:১১ অপরাহ্ন

রাজশাহী ভ্রমণ

স্টাফ রিপোর্টারঃ / ২৭ বার
আপডেট টাইমঃ শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ০৬:১১ অপরাহ্ন

 

রাজশাহী ভ্রমণের একটি ৩ দিনের বিস্তারিত পরিকল্পনা (ইটিনারারি) দেওয়া হলো, যাতে আপনি ঐতিহাসিক স্থান, প্রকৃতি, সংস্কৃতি এবং স্থানীয় খাবার সবকিছু উপভোগ করতে পারেন।


✈️ ভ্রমণ পরিকল্পনা: ৩ দিন ২ রাত — রাজশাহী


প্রস্তাবিত থাকা:

  • Hotel Nice International, Hotel Warisan, or Green City International Hotel (বাজেট অনুসারে বেছে নিতে পারেন)

  • বুকিং অ্যাপ: Agoda / Booking.com / সরাসরি কল করে


১ম দিন: আগমন ও শহরের কেন্দ্রভাগ

সকালে:

  • ঢাকা থেকে রাজশাহী পৌঁছানো

    • ট্রেনে (বনলতা/সিল্কসিটি এক্সপ্রেস): সকাল ৭টা — দুপুর ১টার মধ্যে রাজশাহী

    • বিমানে: ইউএস-বাংলা/বিমান বাংলাদেশ (যদি সময় বাঁচাতে চান)

দুপুরে:

  • হোটেলে চেক-ইন ও বিশ্রাম

  • দুপুরের খাবার: রাজশাহী বিখ্যাত চাপা মাছ ভুনা এবং পদ্মার ইলিশ খেতে পারেন (Hotel Warisan Restaurant বা Ghorowa Hotel এ)

বিকেলে:

  • বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর দর্শন

  • রাজশাহী কলেজ ও শহীদ মিনার এলাকায় হাঁটা ও ছবি তোলা

সন্ধ্যায়:

  • পদ্মা নদীর তীরে টি-বাঁধ এলাকায় হাঁটা

  • পদ্মা গার্ডেনে সূর্যাস্ত দেখা

  • লালন শাহ মুক্তমঞ্চে যদি কোনো অনুষ্ঠান থাকে, উপভোগ করতে পারেন

রাতে:

  • বাজার ঘোরা ও সিল্ক পণ্যের কেনাকাটা (রাজশাহী সিল্ক মার্কেট)

  • রাতের খাবার: ব্যাম্বু টক বা গ্রিল হাউসে


২য় দিন: ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় স্থানগুলো

সকালে:

  • পুঠিয়া রাজবাড়ি ও শিব মন্দির (১৫ কিমি দূরে – সিএনজি/উবার/লোকাল বাস)

    • রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী জমিদার বাড়ি, টেরাকোটা স্থাপত্য

দুপুরে:

  • বাঘা মসজিদ দর্শন (পুঠিয়া থেকে ২০ কিমি দক্ষিণে)

    • ৫০০ বছরের পুরনো সুলতানি আমলের স্থাপত্য

  • স্থানীয় খাবার: বাঘা বা পথে কোনো হোটেলে বিশ্রাম ও খাওয়া

বিকেলে:

  • শাহ মখদুম (রহ.) মাজার ও আশেপাশের বাজার এলাকা ভ্রমণ

  • রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ভ্রমণ (যদি আগ্রহ থাকে)

রাতে:

  • হোটেলে ফিরে বিশ্রাম

  • লাইট ডিনার ও কিছু সময় হোটেলের পাশে হাঁটা


৩য় দিন: প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বিদায়

সকালে:

  • শহীদ কামারুজ্জামান চিড়িয়াখানা ও উদ্যান ভ্রমণ

    • পরিবার বা বাচ্চাদের জন্য উপযুক্ত

  • রাজশাহী সিল্ক গবেষণা কেন্দ্র ভ্রমণ (খোলা থাকলে)

দুপুরে:

  • শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা

  • লাঞ্চ: বিখ্যাত “মেহমানখানা” বা “ঘরোয়া হোটেল”-এ রাজশাহীর দেশি খাবার

বিকেলে:

  • হোটেল থেকে চেকআউট

  • ফেরার ট্রেন বা ফ্লাইট ধরা


প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র:

  • জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট

  • ক্যামেরা/মোবাইল চার্জার

  • হালকা জ্যাকেট (শীতকালে গেলে)

  • সানস্ক্রিন, সানগ্লাস

  • হাইড্রেটেড থাকতে পানি


️ সুপারিশকৃত খাবার:

  • রাজশাহী রেশম মিষ্টি

  • চাপা মাছের ভুনা

  • পদ্মার ইলিশ

  • দেশি স্টাইল বিরিয়ানি

  • মিষ্টি দই


পরিবহন:

  • লোকাল সিএনজি / রেন্টাল মোটরবাইক / মোটো অ্যাপ

  • আন্তঃজেলা রুটে লোকাল বাস বা প্রাইভেট কার ভাড়াশশ\


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *