সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৮ অপরাহ্ন
কোভ্যাক্স কর্মসূচির আওতায় জাপান থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার সাত লাখ ৮১ হাজার ডোজ কোভিড টিকা দেশে এসেছে।
শনিবার বেলা সোয়া তিনটায় ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে এসব টিকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসে।
এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জসিম উদ্দিন খান এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ইপিআইয়ের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মাওলা বখশ শনিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, টিকা আসার পর তা সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
“আমাদের কর্মকর্তারা এসব টিকা গ্রহণ করেছেন। এসব টিকা ইপিআইয়ের কোল্ড স্টোরেজে সংরক্ষণ করা হবে।”
এ নিয়ে দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার এক কোটি ২৬ লাখ ২৪ হাজার ৩০০ ডোজ টিকা এসেছে।
গত ২৫ জানুয়ারি প্রথম চালানে সরকারের কেনা টিকার ৫০ লাখ ডোজ আসে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা এই টিকার দ্বিতীয় চালানে ২৩ ফেব্রুয়ারি টিকা আসে ২০ লাখ ডোজ। আর ভারত সরকারের উপহার হিসেবে ২১ জানুয়ারি ২০ লাখ ডোজ এবং ২৬ মার্চ ১২ লাখ ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা এসেছে।
আর কোভ্যাক্স সহায়তায় ২৪ জুলাই জাপান ২ লাখ ৪৫ হাজার ২০০ ডোজ এবং ৩১ জুলাই ৭ লাখ ৮১ হাজার ৩২০ ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা এসেছে দেশে। ৬ অগাস্ট ৬ লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ ডোজ টিকা এসেছে।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে গণটিকাদান শুরু হয়েছিল।
সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি কোভিশিল্ড টিকার তিন কোটি ডোজ কিনতে চুক্তি করেছিল সরকার। কিন্তু ৭০ লাখ ডোজ আসার পর ভারত রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলে আর চালান আসেনি। এর বাইরে ভারত সরকার উপহার হিসেবে দিয়েছিল ওই টিকার ৩২ লাখ ডোজ।
এর মধ্যে বাংলাদেশ চীন থেকে টিকা কেনা শুরু করেছে সরকার। কোভ্যাক্সের আওতায় ফাইজার, মডার্নার কোভিড টিকাও এসেছে দেশে।