চাকরির ইন্টারভিউতে ভালো করার জন্য প্রস্তুতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচে একটি পরিপূর্ণ গাইড দেওয়া হলো, যাতে আপনি আত্মবিশ্বাসের সাথে ইন্টারভিউ দিতে পারেন।
ইন্টারভিউয়ের আগে প্রস্তুতি
১. কোম্পানির সম্পর্কে জানুন
-
তাদের ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া, সংবাদপত্র বা নিউজ পোর্টালে তথ্য খুঁজে দেখুন।
-
কোম্পানির মিশন, ভিশন ও সাম্প্রতিক প্রকল্পগুলো সম্পর্কে জেনে নিন।
২. জব ডিসক্রিপশন বুঝে নিন
-
নিয়োগকর্তা যে স্কিল, অভিজ্ঞতা বা কোয়ালিফিকেশন চেয়েছে তা মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
-
সেই অনুযায়ী নিজের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার মিল তৈরি করুন।
৩. কমন প্রশ্নের উত্তর প্রস্তুত করুন
প্রশ্ন | প্রস্তুতির পরামর্শ |
---|---|
“নিজেকে পরিচয় করিয়ে দিন” | নিজের শিক্ষা, দক্ষতা ও ক্যারিয়ারের সারসংক্ষেপ দিন। |
“আপনার দুর্বলতা কী?” | এমন একটি দুর্বলতা বলুন যা ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা যায় (যেমন: “আমি ডিটেইলস নিয়ে খুব বেশি সচেতন”) |
“আপনি কেন এই চাকরি চান?” | কোম্পানির উদ্দেশ্য ও নিজের ক্যারিয়ার লক্ষ্যকে সংযুক্ত করুন। |
“আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?” | দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য তুলে ধরুন, যেমন: শেখা, নেতৃত্ব, অবদান রাখা। |
প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে রাখুন
-
CV বা Resume এর প্রিন্ট কপি
-
জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মসনদ
-
প্রাসঙ্গিক সার্টিফিকেটের কপি
-
কলম, নোটপ্যাড
পরিচ্ছন্ন পোশাক ও আচরণ
-
পোশাক: ফরমাল পোশাক (পুরুষদের জন্য শার্ট-প্যান্ট ও টাই, নারীদের জন্য ফরমাল কামিজ বা সালোয়ার-কামিজ)।
-
ভাষা: বিনয়ী, আত্মবিশ্বাসী ও পরিমিতভাষী হোন।
-
বডি ল্যাঙ্গুয়েজ: চোখে চোখ রেখে কথা বলুন, হাত নাড়াচাড়া বা নড়াচড়া কম করুন।
ইন্টারভিউয়ের পরে করণীয়
-
ইন্টারভিউ শেষে “Thank you for the opportunity” বা “আপনার সময়ের জন্য ধন্যবাদ” বলুন।
-
যদি না হয়, হতাশ না হয়ে অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিন এবং আরও ভালোভাবে প্রস্তুতি নিন।
অনুশীলন করতে পারেন এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়ে:
১/ আপনার সবচেয়ে বড় অর্জন কী?
২/ চাপের মধ্যে আপনি কীভাবে কাজ করেন?
৩/ আপনার সহকর্মীরা আপনাকে কিভাবে বর্ণনা করবে?
৪/ আপনি যদি আজ নিয়োগ পান, প্রথম ৩০ দিনে কী করবেন?